তোমার জন্য অপেক্ষা

বৃষ্টি নামছিল হালকা হালকা, আমি ক্যাফেটিয়ার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভিজতে ভিজতে চায়ের কাপটা উল্টে-পাল্টে দেখছিলাম। আজকে তিন বছর পর কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরেছি - পুরনো স্মৃতিগুলো যেন মেঘের ফাঁকে ফাঁকে ভেসে উঠছে। 

হঠাৎ... 

এটা কি... তুমি?

একটা চেনা গলার স্পন্দন পিছন থেকে এসে আমার শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেল। ঘুরে দাঁড়াতেই দেখি!

** রিদমা **

তার চুল এখনও সেই একইভাবে বাঁধা, ঠোঁটের কোণে সেই লাজুক তিলটা এখনও আছে।  কিন্তু চোখে নতুন একটা গভীরতা,  যেন সমুদ্রের নিচে লুকোনো রহস্য। 

সে বলল! "ভালো আছো?" আমি বললাম, গলাটা একটু শুকনো মনে হল। 

সে হাসল, অপেক্ষা করছিলাম... জানতাম তুমি একদিন ফিরবে।Meghmala Digital Diaryবৃষ্টির ফোঁটা তার কপালে গড়িয়ে পড়ল। আমি অজান্তেই হাত বাড়িয়ে দিলাম মুছতে, কিন্তু থামিয়ে দিলাম নিজেকে। 

কেন অপেক্ষা করছিলে? প্রশ্নটা বেরিয়ে গেল যেন কেউ আরেকজন জিজ্ঞেস করল। 

রিদমা আমার হাতে একটা পুরনো চিরকুট দিল! 

  সেই দিনের, যেদিন আমি হঠাৎ চলে গিয়েছিলাম শহর ছেড়ে। চিরকুটে লেখা: 

তোমার যাওয়ার কারণ জানি না, কিন্তু ফিরে আসার একটা কারণ আমি হয়ে থাকব। 

চোখ জলে ভরে এল। এবার আর থামলাম না! 

জড়িয়ে ধরলাম তাকে,  বৃষ্টির শব্দ, ক্যাম্পাসের ঘণ্টাধ্বনি, সব যেন মিলিয়ে গেল আমাদের না বলা কথার মাঝে। 

এবার... চলে যেও না, রিদমার কণ্ঠে কাঁপুনি। 

    আমি তার হাত চেপে ধরে বললাম,

যেখানেই যাই, ফিরে আসার জায়গা তো তুমি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url